বিশেষ ঘোষণা

বিশেষ ঘোষণাঃ কারিগরি কারণ বশতঃ বেশ কিছু বইয়ের লিঙ্ক কাজ করছে না। সেগুলো ধীরে ধীরে ঠিক করে দেওয়ার কাজ চলছে। কিছু বই অপেক্ষাকৃত ভালো করতে গিয়ে একটু সময় লাগছে। ফেসবুক গ্রুপে প্রত্যেক আপডেট জানিয়ে দেওয়া হবে। মাঝে মাঝে নতুন বই দেবার ও চেষ্ট চলছে ।

সরলাবালা সরকার

বাংলা ভাষার সমস্ত লেখক - এক জায়গায় ক্রমানুসারে

সরলাবালা সরকার
জন্ম - ১০ই ডিসেম্বর, ১৮৭৫                                                                   মৃত্যু - ১লা ডিসেম্বর, ১৯৬১
নদীয়া, ভারত                                                                                                       কলকাতা, ভারত


বাংলা কাব্যসাহিত্যের ভূবনে যে সকল মহিলা কবি শোক-কাব্য রচনা করে সুপ্রসিদ্ধ হয়েছেন , তাদের মধ্যে অন্যতম হলেন সরলাবালা সরকার । সরলাবালা সরকার " প্রবাহ " নামক শোক-কাব্যগ্রন্থ রচনা করে বাংলার পাঠকসমাজে বিশেষ পরিচিতি লাভ করেন এবং এই শোক-কাব্যগ্রন্থটি ১৯০৪ সালে প্রকাশিত হয় । বাংলাদেশের সাহিত্য, রাজনীতি ও সমাজ জীবনে উনবিংশ ও বিংশ শতাব্দীর মধ্যে যোগাযোগের একটা সেতু হয়ে দুইটি শতাব্দীকে সংযুক্ত করেছিলেন সরলাবালা সরকার । সরলাবালা সরকার ছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রখ্যাত আইনজীবী কিশোরীলাল সরকারের কন্যা, সুপ্রসিদ্ধ ডাক্তার সরসীলাল সরকারের ভগিনী এবং অমৃতবাজার পত্রিকাগোষ্ঠীর শিশিরকুমার , হেমন্তকুমার ও মতিলাল ঘোষের ভাগিনেয়ী। বাংলা সাহিত্যের প্রথম আত্মজীবনী " আমার জীবন " গ্রন্থের লেখিকা রাসসুন্দরী দেবী হলেন সরলাবালা সরকারের পিতামহী । সরলাবালা সরকার ১৮৭৫ সালে ডিসেম্বর মাসের ১০ তারিখে বর্তমান ভারতবর্ষের অন্তর্গত পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশের অন্তর্ভুক্ত নর্দীয়া জেলার কাঁঠালপোতা গ্রামে ভুমিষ্ঠ হন । এই খ্যাতনামা মহিলা কবির পৈতৃক নিবাস ছিল অধুনা বাংলাদেশের অন্তর্গত ফরিদপুর জেলায় অবস্থিত বড় রামদিয়া গ্রামে । এই সম্মাননীয়া কবি আপন গৃহে প্রথমে পিতা কিশোরীলাল সরকারের নিকটে এবং পরে জ্যেষ্ঠ ভ্রাতা ডাক্তার সরসীবালা সরকারের নিকটে বিদ্যাশিক্ষা করেন । মাত্র বারো বছর বয়সে এই মাননীয়া কবি রায়-বাহাদুর মহিমচন্দ্র সরকারের পুত্র শরৎচন্দ্র সরকারের সহিত বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন এবং ১৮৯৮ সালে তিনি বৈধব্যকে বরণ করে জীবনের বাকি সময় সম্পূর্ণভাবে সাহিত্যচর্চায় অতিবাহিত করেন । এই শ্রদ্ধেয়া কবি অল্প বয়স থেকেই সাহিত্যচর্চা করতেন এবং পিতামহী রাসসুন্দরী দেবীর নিকট থেকে তিনি সাহিত্যচর্চায় অনুপ্রেরণা লাভ করেন । এই পূজনীয়া কবির রচিত প্রথম কবিতা সম্ভবত "লজ্জাবতী" ১৮৯০ সালে "ভারতী" পত্রিকায় এবং প্রথম ছোটগল্প "ঘরের লক্ষ্মী" ১৮৯২ সালে "সাহিত্য" পত্রিকায় প্রকাশিত হয় । স্বামীর মৃত্যুর পরে সাহিত্য, প্রদীপ, উৎসাহ, প্রবাসী, সুপ্রভাত, জাহ্নবী, উদ্বোধন, অন্তঃপুর, ভারতবর্ষ প্রভৃতি পত্রিকায় নিয়মিত এই বরণীয়া কবির রচিত কবিতা, গল্প ও প্রবন্ধ প্রকাশিত হতে থাকে । এই প্রথিতযশা মহিলা কবির রচিত যে সকল গ্রন্থের সন্ধান পাওয়া যায় , সেইগুলি হল --- 

কাব্যগ্রন্থ :- প্রবাহ (১৯০৪), অর্ঘ (১৯৫১) ।

জীবনীগ্রন্থ :- নিবেদিতা (১৯১২), কুমুদনাথ (১৯৩৮), স্বামী বিবেকানন্দ ও শ্রীরামকৃষ্ণ সংঘ (১৯৫৭) । 
গল্পগ্রন্থ :- চিত্রপট (১৯১৭ ), গল্প সংগ্রহ (১৯৫৭) । 
শিশুপাঠ্যগ্রন্থ :- পিনকুর ডাইরি (১৯৬১) । 
আত্মজীবনীমূলকগ্রন্থ :- হারানো অতীত (১৯৫৪)। 
প্রবন্ধগ্রন্থ :- মনুষ্যত্বের সাধনা (১৯৫৩), সাহিত্য জিজ্ঞাসা (১৯৫৭) । 

এই স্বনামধন্যা কবি ১৯৩০ সালের মার্চ মাসের ১৩ তারিখে স্বদেশী আন্দোলনের সময় কয়েকজন নেতৃস্থানীয় মহিলার উদ্যোগে গঠিত "নারী সতাগ্রহ সমিতি" নামক একটি সংগঠনের গুরুত্বপুর্ণ সদস্যা ছিলেন এবং তিনি ১৮৫৩ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক ভারতীয় মহিলাগণের মধ্যে সর্বপ্রথম "গিরিশ ঘোষ লেকচারার" নিযুক্ত হন । এই বিদুষী কবি ১৯০২ সালে "স্মৃতিচিহ্ন" গল্প রচনার জন্য "কুন্তলীন পুরস্কার" লাভ করেন । ১৯৬১ সালে ডিসেম্বর মাসের ১ তারিখে বর্তমান ভারতবর্ষের অন্তর্গত পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশের রাজধানী কলকাতা শহরের মধ্যস্থিত বাগবাজার অঞ্চলে নিজের বাসভবনে বাংলা সাহিত্যের একনিষ্ঠ সেবিকার জীবনাবসান হয় । 

কৃতজ্ঞতা - Shining Subir.

নীচে তার রচনার ওপর ক্লিক করলে নির্দিষ্ট বইটি পেতে পারেন।

অ - ঔ ক - ন প - ম, শ স, ষ, র, ল, য, হ, ক্ষ

















































































































একটি আবেদন - 
কেউ যদি কোনো বই/ পত্রিকা স্ক্যান করতে / দিতে চান 
বা সূচীপত্র ও.সি.আর. করতে চান - 
তাহলে নিচের ইমেলে যোগাযোগ করবেন 

babuipakhi819@gmail.com 

No comments:

Post a Comment