বিশেষ ঘোষণা

বিশেষ ঘোষণাঃ কারিগরি কারণ বশতঃ বেশ কিছু বইয়ের লিঙ্ক কাজ করছে না। সেগুলো ধীরে ধীরে ঠিক করে দেওয়ার কাজ চলছে। কিছু বই অপেক্ষাকৃত ভালো করতে গিয়ে একটু সময় লাগছে। ফেসবুক গ্রুপে প্রত্যেক আপডেট জানিয়ে দেওয়া হবে। মাঝে মাঝে নতুন বই দেবার ও চেষ্ট চলছে ।

সজনীকান্ত দাস

বাংলা ভাষার সমস্ত লেখক - এক জায়গায় ক্রমানুসারে

সজনীকান্ত দাস
জন্ম - ২৫শে আগস্ট, ১৯০০                                                            মৃত্যু - ১১ই ফেব্রুয়ারী, ১৯৬২
বর্ধমান, ভারত                                                                                                            কলকাতা, ভারত


" বহু বিলম্বে আসিয়াছ তুমি , তবু আসিয়াছ এই তো ভালো ;
তৈলবিহীন প্রদীপে দেখ তো জ্বলে কি না জ্বলে নতুন আলো !
স্তিমিত হয়েছে যৌবনশিখা -- মনের খবর লয় না কেহ ,

আমি শুধু জানি অন্তর-তাপে হয় কি না হয় তাপিত দেহ ।

তুমি জ্বলিতেছ আপন তেজে , ভস্ম ঠেলিয়া আগুন-জ্বালা

পাবে কি দেখিতে -- চারিদিকে তব জ্বলিছে আরতি-দ্বীপের মালা !

শঙ্খ-ঘণ্টা সঘনে বাজে ,
জোনাকির আলো কে পায় দেখিতে সহস্রশিখা মশাল-মাঝে !"


1947 সালের আগস্ট মাসের 15 তারিখে প্রথম স্বাধীনতা দিবসে বেতারে যে "বন্দে মাতরম" গানটি বাজানো হয়েছিল, সেই গানটির রচিয়তা ছিলেন সজনীকান্ত দাস এবং গায়ক ছিলেন সুকৃতি সেন । বহমুখী প্রতিভার অধিকারী হয়েও বাংলা সাহিত্যের বিভিন্ন শাখায় অবাধে বিচরণ করে গেছেন সজনীকান্ত দাস । সজনীকান্ত দাস মূলত কবি হলেও ব্যঙ্গনিপুণ সমালোচক হিসাবে বাংলা সাহিত্যে প্রতিষ্ঠা লাভ করেছিলেন। উপরোক্ত লাইনগুলি সজনীকান্ত দাসের রচিত "পান্থ-পাদপ" কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত "বিলম্বিনী" কবিতা থেকে উদ্ধৃত করা হয়েছে । 

সজনীকান্ত দাস 1900 সালে আগস্ট মাসের 25 তারিখে বর্তমান ভারতবর্ষের অন্তর্গত পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশের বর্ধমান জেলার অন্তর্ভুক্ত বেতালবন গ্রামে মাতুলালয়ে ভুমিষ্ঠ হন । এই মান্যবর কবির পিতার নাম হরেন্দ্রলাল রায়, ইনি জমির হিসাবরক্ষক হিসাবে কর্মজীবন আরম্ভ করলেও পরে পার্টিশন-ডেপুটি-কালেক্টর হয়েছিলেন এবং মাতার নাম তুঙ্গলতা দেবী। হরেন্দ্রলাল রায়ের নিবাস এই প্রদেশেরই অন্তর্গত বীরভূম জেলার রায়পুর গ্রামে । পিতা হরেন্দ্রলাল রায়ের চাকুরিসুত্রে এই প্রতিভাধর কবির বাল্যকাল বেতালবন, রায়পুর, বাঁকুড়া , মালদহ , পাবনা ও দিনাজপুরে অতিবাহিত হওয়ার কারনে তার বিদ্যাশিক্ষায় কিছুটা বিঘ্ন ঘটে । এই সম্মাননীয় কবি 1918 সালে দিনাজপুর জেলা স্কুল থেকে এন্ট্রান্স পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে বৃত্তি লাভ করেন এবং 1920 সালে বাঁকুড়া ওয়েসলিয়ান মিশনারী কলেজ থেকে আই . এসসি . পরীক্ষায় প্রথম বিভাগে ও 1922 সালে কলকাতার স্কটিশচার্চ কলেজ থেকে রসায়নে অনার্স নিয়ে বি. এস. সি. পরীক্ষায় কৃতকার্য হন । এরপরে এই পূজনীয় কবি ইঞ্জিনিয়ারিং পাঠক্রমে অধ্যয়নের জন্য বারাণসী গমন করেন , এই পাঠক্রমে পাঠরতা থাকাকালীন তা মাঝপথে ত্যাগ করে কলকাতায় আগমন করেন এবং এখানে পদার্থবিদ্যায় এম . এসসি . পাঠক্রমে ভর্তি হন । এম. এস. সি. পাঠক্রমে পাঠরত থাকাকালীন এই বরণীয় কবি 1924 সালে অশোক চট্টোপাধ্যায়ের দ্বারা প্রতিষ্ঠিত "শনিবারের চিঠি" পত্রিকায় যোগদান করে "ভাবকুমার প্রধান" ছদ্মনামে লেখনী ধারণ করেন এবং পত্রিকাটির একাদশ সংখ্যা থেকে তার সম্পাদক ও পরিচালক (1928 - 1932, 1936 - 1962) নিযুক্ত হন । 

"শনিবারের চিঠি" পত্রিকা ছাড়াও এই মহান কবি "প্রবাসী" ও "মর্ডান রিভিউ" পত্রিকার সহ-সম্পাদক (1925 - 1928), "প্রবাসী প্রেস" - এর মুদ্রাকর ও কর্মাধ্যক্ষ (1928 - 1931), "দৈনিক বসুমতী " পত্রিকার লেখক (1932), " বঙ্গশ্রী " মাসিক পত্রিকার সম্পাদক (1932 - 1935), বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদের সভাপতি, সহ-সভাপতি (1949), সম্পাদক (1945 -- 1948), গ্রন্থাধ্যক্ষ (1938), সাহিত্য পরিষদ পত্রিকার সম্পাদক (1940), পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পরিভাষা সংসদের সদস্য (1948 - 1962) এবং "শনিরঞ্জন প্রেস" ও "রঞ্জন পাবলিশিং হাউস" - এর প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন । বাংলা সাহিত্য আসরে সজনীকান্ত দাস পদার্পন করেন কাজী নজরুল ইসলামকে আক্রমন করে । ক্রমে ক্রমে প্রায় সকল খ্যাতিমান লেখকই সজনীকান্ত দাসের ব্যঙ্গাত্মক সমালোচনায় আক্রান্ত হন এমন কি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরও তার সমালোচনা থেকে মুক্তি লাভ করেন নি । এই স্বনামধন্য কবি ব্যঙ্গকবিতা ও ভাবগম্ভীর কবিতা উভয় রচনাতে খুবই পারদর্শী ছিলেন এবং তিনি এগারোটি কাব্যগ্রন্থ, উপন্যাস, ছোটগল্পগ্রন্থ, সমালোচনা ও গবেষণাগ্রন্থ মিলিয়ে ত্রিশটির বেশী গ্রন্থ রচনা করেন, কাব্যগ্রন্থগুলির মধ্যে - পথ চলতে ঘাসের ফুল (1929), অঙ্গুষ্ঠ (1931), বঙ্গরণভুমে (1931), মনোদর্পন (1931), রাজহংস (1935), আলো আঁধারি (1936), কেডস ও স্যান্ডাল (1940), পঁচিশে বৈশাখ (1942), মানস-সরোবর (1942), ভাব ও ছন্দ (1952), পান্থ-পাদপ (1960); সমালোচনা ও গবেষণামূলকগ্রন্থের মধ্যে-- রবীন্দ্রনাথ : জীবন ও সাহিত্য (1960), বাংলা গদ্যের প্রথম যুগ (1962) প্রভৃতি; ছোটগল্পগ্রন্থের মধ্যে-- কলিকাল (1940), আকাশবাসর (1944), স্বনির্বাচিত গল্প (1959) প্রভৃতি বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য । এই প্রখ্যাত কবি 1929 সালে "অজয়" নামে একটি উপন্যাস এবং সাহিত্যসাধক চরিতমালা সিরিজের কয়েকটি জীবনী পুস্তিকাও রচনা করেছিলেন । 

এই মহামান্য কবি "কামস্কাটীয় ছন্দ" কবিতাটি প্রকাশের পর ব্যঙ্গসাহিত্যে বিপুল জনপ্রিয়তা লাভ করেন । এই প্রথিতযশা কবি ছায়াছবির চিত্রনাট্যকার ও সংলাপ-রচিয়তা হিসাবে যথেষ্ট সুনাম অর্জন করেছিলেন । 1962 সালে ফেব্রুয়ারি মাসের 11 তারিখে এই চিরস্মরণীয় কবি কলকাতার বেলগাছিয়ায় নিজ বাসভবনে করোনারি থ্রম্বোসিস রোগে আক্রান্ত হয়ে নশ্বর শরীর ত্যাগ করেন । কবি, সমালোচক, ছোটগল্পকার ও প্রাচীন বঙ্গসাহিত্যের গবেষকরূপে বাংলা সাহিত্যকে সমৃদ্ধ করেছেন সজনীকান্ত দাস ।

কৃতজ্ঞতা - Shining Subir.

নীচে তার রচনার ওপর ক্লিক করলে নির্দিষ্ট বইটি পেতে পারেন।

অ - ঔ ক - ন প - ম, শ স, ষ, র, ল, য, হ, ক্ষ

















































































































একটি আবেদন - 
কেউ যদি কোনো বই/ পত্রিকা স্ক্যান করতে / দিতে চান 
বা সূচীপত্র ও.সি.আর. করতে চান - 
তাহলে নিচের ইমেলে যোগাযোগ করবেন 

babuipakhi819@gmail.com 

No comments:

Post a Comment