বিশেষ ঘোষণা

বিশেষ ঘোষণাঃ কারিগরি কারণ বশতঃ বেশ কিছু বইয়ের লিঙ্ক কাজ করছে না। সেগুলো ধীরে ধীরে ঠিক করে দেওয়ার কাজ চলছে। কিছু বই অপেক্ষাকৃত ভালো করতে গিয়ে একটু সময় লাগছে। ফেসবুক গ্রুপে প্রত্যেক আপডেট জানিয়ে দেওয়া হবে। মাঝে মাঝে নতুন বই দেবার ও চেষ্ট চলছে ।

নীহার রঞ্জন গুপ্ত

বাংলা ভাষার সমস্ত লেখক - এক জায়গায় ক্রমানুসারে

নীহার রঞ্জন গুপ্ত
জন্ম - ৬ই জুন, ১৯১১                                                                   মৃত্যু - ২০শে ফেব্রুয়ারী, ১৯৮৬
যশোহর, বাংলাদেশ                                                                                                  কলকাতা, ভারত
বিশেষ চরিত্র ঃ বিখ্যাত কিরিটি রায়।

বাংলা সাহিত্যে জনপ্রিয় রহস্য - কাহিনীকার ও চিকিৎসক নীহাররঞ্জন গুপ্ত 1911 সালের জুন মাসের 6 তারিখে অবিভক্ত ভারতবর্ষের যশোহরের লোহাগড়া উপজেলার ইটনা গ্রামে জন্মগ্রহন করেন । এই লেখকের পিতার নাম সত্যরঞ্জন গুপ্ত ও মাতার নাম লবঙ্গলতা দেবী । বিখ্যাত গোয়েন্দা চরিত্র "কিরীটী রায়ের" স্রষ্টা হিসাবে এই বরণীয় লেখকের নাম বাংলা সাহিত্যে স্বর্ণাক্ষরে লিপিবদ্ধ আছে । এই লেখকের জন্ম ইটনা গ্রামে হলেও বিদ্যাভ্যাসের জন্য তিনি শৈশবকালেই কলকাতায় চলে আসেন এবং কলকাতাতেই বড়ো হন । 1930 সালে নীহাররঞ্জন গুপ্ত কোন্নগর উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ম্যাট্রিকুলেশন পাস করার পর কৃষ্ণনগর কলেজ থেকে আই. এস . সি. পাস করেন । এরপর তিনি কারমাইকেল মেডিকেল কলেজ (বর্তমানে এই কলেজ আর. জি. কর. মেডিকেল কলেজ নামে সুপরিচিত) থেকে চিকিৎসাবিদ্যায় কৃতকার্য হন ।এই বিখ্যাত কাহিনীকার দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ভারতীয় সেনাবাহিনীতে যোগদান করেন এবং একসময় সেনাবাহিনীর মেজর পর্যন্ত হয়েছিলেন । সেনাবাহিনীতে থাকাকালীন তিনি চট্টগ্রাম থেকে মিশর পর্যন্ত বিভিন্ন রণাঙ্গন ঘুরে প্রচুর অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করেন এবং ব্রহ্মদেশে অনেকটা সময় অতিবাহিত করেন । সেনাবাহিনী থেকে ফিরে এসে এই স্বণামধন্য লেখক লন্ডন যান এবং লন্ডন থেকে চর্মরোগ বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রী অর্জন করে কলকাতা মেডিকেল কলেজে যোগদান করেন । পরে তিনি ভারতের বিভিন্ন হাসপাতালের দায়িত্ব সুনামের সাথে পালন করেছেন । দেশভাগের পর অর্থাৎ 1947 সাল থেকে এই গ্রন্থকার পাকাপাকিভাবে কলকাতায় বসবাস করেন । নীহাররঞ্জন গুপ্ত শৈশবকাল থেকেই সাহিত্যিক হওয়ার স্বপ্ন দেখতেন । 

মাত্র আঠারো বছর বয়সে এই সাহিত্যিক নিজের প্রথম উপন্যাস "রাজকুমার" রচনা করেন । লন্ডনে থাকাকালে গোয়েন্দা গল্পের জনপ্রিয় লেখক আগাথা ক্রিস্টির সাথে সাক্ষাৎ করেন । আগাথা ক্রিস্টির সাথে কথাবার্তায় নীহাররঞ্জন গুপ্ত ভীষনভাবে অনুপ্রাণিত হন এবং ভারতে ফিরে এসে প্রথম কালজয়ী রহস্য উপন্যাস "কালোভ্রমর" রচনা করেন । বাংলা সাহিত্যে রহস্য কাহিনী রচনার ক্ষেত্রে এই প্রথিতযশা লেখক অপ্রতিদ্বন্দী ছিলেন ।এই দেশবরেণ্য গ্রন্থকার সব মিলিয়ে দুই শতাধিক গ্রন্থ রচনা করেছেন । "কালোভ্রমর" ছাড়াও তার রচিত অন্যান্য গ্রন্থগুলির মধ্যে - অস্তি ভাগীরথীর তীরে, তালপাতার পুঁথি, ইতিহাস কথা বলে, উল্কা, উত্তরফাল্গুনী, কলঙ্কিনী কঙ্কাবতী, লালুভুলু, বাদশা, রাতের রজনীগন্ধা, কিরীটী অমনিবাস, মৃত্যুবান প্রভৃতি বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য । আজ পর্যন্ত এই মহান লেখকের পঁয়তাল্লিশ উপন্যাসকে টলিউড ও বলিউডে বাংলা ও হিন্দী ভাষায় চলচিত্রে রূপায়িত করা হয়েছে । এই বরণীয় লেখক "সবুজসাহিত্য" নামে একটি ছোটদের পত্রিকা সম্পাদনাও করেছেন। 1986 সালে ফেব্রুয়ারী মাসের 20 তারিখে এই কিংবদন্তী লেখকের তিরোধান হয় ।


কৃতজ্ঞতা - Shining Subir.

নীচে তার রচনার ওপর ক্লিক করলে নির্দিষ্ট বইটি পেতে পারেন।

অ - ঔ ক - ন প - ম, শ স, ষ, র, ল, য, হ, ক্ষ












































































































একটি আবেদন - 
কেউ যদি কোনো বই/ পত্রিকা স্ক্যান করতে / দিতে চান 
বা সূচীপত্র ও.সি.আর. করতে চান - 
তাহলে নিচের ইমেলে যোগাযোগ করবেন 

babuipakhi819@gmail.com 

No comments:

Post a Comment