বিশেষ ঘোষণা

বিশেষ ঘোষণাঃ কারিগরি কারণ বশতঃ বেশ কিছু বইয়ের লিঙ্ক কাজ করছে না। সেগুলো ধীরে ধীরে ঠিক করে দেওয়ার কাজ চলছে। কিছু বই অপেক্ষাকৃত ভালো করতে গিয়ে একটু সময় লাগছে। ফেসবুক গ্রুপে প্রত্যেক আপডেট জানিয়ে দেওয়া হবে। মাঝে মাঝে নতুন বই দেবার ও চেষ্ট চলছে ।

দ্বিজেন্দ্র লাল রায়

বাংলা ভাষার সমস্ত লেখক - এক জায়গায় ক্রমানুসারে

দ্বিজেন্দ্র লাল রায়
জন্ম - ১৯শে জুলাই, ১৮৬৩                                                                            মৃত্যু - ১৩ই মে, ১৯১৩
কৃষ্ণনগর, নদীয়া, ভারত                                                                                           কলকাতা, ভারত

"এত ভালবাস বলি প্রকৃতি আমায়,
তাই কি তোমার পানে সদা মন ধায় ?
যে ভালবাসে আমারে ভালবাসি তারে;

প্রাণ সহ ভালবাসি তাই কি তোমারে । 
না, নিঃস্বার্থ ভালবাসা জানিও আমার, 
ভালবাসি, নাহি চাই প্রতিদান তার ।।"


উপরোক্ত লাইনগুলি বাংলা সাহিত্যের কিংবদন্তী নাট্যকার দ্বিজেন্দ্রলাল রায় রচিত আর্যগাথা (প্রথম খন্ড) কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত "এত ভালবাসা" নামক কবিতা থেকে উদ্ধৃত করা হয়েছে । বাংলা সাহিত্যজগতে এই কিংবদন্তী নাট্যকার ডি. এল. রায় নামে সুপরিচিত । 

১৮৬৩ সালের ১৯শে জুলাই পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার কৃষ্ণনগরে তাঁর জন্ম। পিতা সুকন্ঠ গায়ক কার্তিকেয়চন্দ্র রায় ছিলেন কৃষ্ণনগরের দেওয়ান এবং মাতা প্রসন্নময়ী দেবী ছিলেন অদ্বৈত প্রভুর বংশধর। তাঁর দুই অগ্রজ রাজেন্দ্রলাল ও হরেন্দ্রলাল এবং এক ভ্রাতৃজায়াও সাহিত্যিক হিসেবে সুপরিচিত ছিলেন।

দ্বিজেন্দ্রলাল রায় শৈশবকাল থেকেই সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলে প্রতিপালিত হয়ে ছিলেন বলে ছাত্র থাকাকালীন অবস্থায় আর্যগাথা (প্রথম খন্ড) রচনা করেন । এই কাব্যগ্রন্থটি 1882 সালের মার্চ মাসের 5 তারিখে প্রকাশিত হয় । দ্বিজেন্দ্রলাল রায় ছিলেন নাট্যকার, কবি, গদ্যকার ও সঙ্গীতস্রষ্টা । এই বরণীয় কবির পিতা ছিলেন সুবিখ্যাত গায়ক কার্ত্তিকেয় চন্দ্র রায়, পেশায় ইনি ছিলেন কৃষ্ণনগর রাজবংশের দেওয়ান এবং মাতা ছিলেন বৈষ্ণবশ্রেষ্ঠ অদ্বৈত আচার্যের বংশের কন্যা প্রসন্নময়ী দেবী । এই বিখ্যাত নাট্যকার 1884 সালে প্রেসিডেন্সী কলেজ থেকে ইংরেজি সাহিত্যে দ্বিতীয় শ্রেণীর প্রথম স্থান অধিকার করে এম. এ. পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন এবং সেই বছরই তিনি পুনরায় ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হন । ম্যালেরিয়া থেকে একটু সুস্থ হলে বায়ু পরিবর্তনের জন্য এই বরণীয় নাট্যকার বর্তমান ভারতবর্ষের অন্তর্গত বিহার প্রদেশে অবস্থিত দেওঘরে যান এবং সেখানে কিছুকাল অবস্থান করে পুরোপুরি সুস্থ হয়ে এই প্রদেশেই অবস্থিত ছাপরা জেলায় রেভেলগঞ্জ সেমিনারিতে শিক্ষক পদে যোগদান করেন । দুই মাস পর ব্রিটিশ সরকার এই নাট্যকারকে জানায় যে তিনি যদি কৃষিবিদ্যা শিক্ষার জন্য লন্ডন যেতে ইচ্ছুক থাকলে সরকার লন্ডন যাওয়ার ব্যয়ভার বহন করতে রাজী আছেন । দ্বিজেন্দ্রলাল সরকারের এই প্রস্তাবে সম্মতি দেন, অবশেষে 1884 সালের এপ্রিল মাসে তিনি লন্ডন যাত্রা করেন । দ্বিজেন্দ্রলাল লন্ডনের সিসিস্টার কলেজ থেকে কৃষিবিদ্যায় এফ. আর. এ. এস. ডিগ্রী লাভ করেন এবং রয়্যাল এগ্রিকালচার কলেজ থেকে এম. আর. এ. সি ও এগ্রিকালচার সোসাইটি থেকে এম. আর. এস.এ উপাধি লাভ করেন । এই মহান নাট্যকারের লন্ডনে প্রবাসী জীবনের উপরেই আজ আমি আলোকপাত করবো । আজ আমার আলোচ্য বিষয় দ্বিজেন্দ্রলাল রায়ের প্রবাসী জীবন - লন্ডনে থাকাকালীন অবস্থায় এই খ্যাতনামা নাট্যকার জ্ঞানেন্দ্রলাল ও হরেন্দ্রলাল (সম্পর্কে জ্ঞানেন্দ্রলাল ও হরেন্দ্রলাল দ্বিজেন্দ্রলাল রায়ের অগ্রজ দুই ভ্রাতা) সম্পাদিত সাপ্তাহিক "পতাকা" নামক পত্রিকায় "বিলেতের পত্র" ধারাবাহিকভাবে প্রকাশ করতেন । এই পত্রাবলীতে দ্বিজেন্দ্রলালের বিশ্লেষণশক্তি, পর্যবেক্ষণদক্ষতা, স্বাজাত্যানুভূতির পরিচয় পাওয়া যায় । দ্বিজেন্দ্রলাল রায়ের বন্ধুভাগ্য খুব ভালো ছিল, প্রবাসী জীবনে তার ব্যাতিক্রম হয় নি । বিচারপতি আশুতোষ চৌধুরী, ব্যারিস্টার ব্যোমকেশ চক্রবর্তী, ব্যারিস্টার সত্যেন্দ্রপ্রসন্ন সিংহ, জেলা-জজ লোকেন্দ্রনাথ পালিত এবং পরবর্তীকালের বঙ্গবাসী কলেজের অধ্যক্ষ গিরিশচন্দ্র বসু প্রমুখ ব্যাক্তির সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠতা হয় । দ্বিজেন্দ্রলাল রায়ের প্রবাস কালের দুইটি ঘটনা বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য । প্রথমটি হল ইংরাজী সঙ্গীত শিক্ষা এবং দ্বিতীয়টি হল ইংরাজী কাব্যের প্রকাশ । এই খ্যাতনামা কবি লন্ডনে থাকাকালীন "Lyrics of Ind" নামক ইংরাজী কাব্যগ্রন্থ রচনা করেন । এই ইংরাজী কাব্যগ্রন্থটি 1886 সালে প্রকাশিত হয় । 

লন্ডনে থাকাকালীন এই শ্রদ্ধেয় কবি প্রায়ই সেখানকার বিখ্যাত রঙ্গালয়ে নাটক দেখতে যেতেন । সেখানকার অভিনেতা ও অভিনেত্রীদের অভিনয় দেখে রঙ্গালয় ও অভিনয় সম্পর্কে বিশাল অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করেন । এই অভিজ্ঞতা তাকে পরবর্তীকালে বাংলা নাটক রচনা করতে অনেক সাহায্য করেছিল । এই প্রথিতযশা নাট্যকার জীবনের শেষ প্রান্তে "সন্ন্যাস" নামক দুরারোগ্য অসুখে আক্রান্ত হন, অবশেষে 1913 সালে মে মাসের 17 তারিখে কলকাতাতেই তিনি ইহলোক ত্যাগ করেন ।

কৃতজ্ঞতা - Shining Subir.

নীচে তার রচনার ওপর ক্লিক করলে নির্দিষ্ট বইটি পেতে পারেন।

অ - ঔ ক - ন প - ম, শ স, ষ, র, ল, য, হ, ক্ষ

















































































































একটি আবেদন - 
কেউ যদি কোনো বই/ পত্রিকা স্ক্যান করতে / দিতে চান 
বা সূচীপত্র ও.সি.আর. করতে চান - 
তাহলে নিচের ইমেলে যোগাযোগ করবেন 

babuipakhi819@gmail.com 

No comments:

Post a Comment