বিশেষ ঘোষণা

বিশেষ ঘোষণাঃ কারিগরি কারণ বশতঃ বেশ কিছু বইয়ের লিঙ্ক কাজ করছে না। সেগুলো ধীরে ধীরে ঠিক করে দেওয়ার কাজ চলছে। কিছু বই অপেক্ষাকৃত ভালো করতে গিয়ে একটু সময় লাগছে। ফেসবুক গ্রুপে প্রত্যেক আপডেট জানিয়ে দেওয়া হবে। মাঝে মাঝে নতুন বই দেবার ও চেষ্ট চলছে ।

বিষ্ণু দে

বাংলা ভাষার সমস্ত লেখক - এক জায়গায় ক্রমানুসারে

বিষ্ণু দে
জন্ম - ১৮ই জুলাই, ১৮০৯                                                                     মৃত্যু - ৩রা ডিসেম্বর, ১৯৮২
কলকাতা, ভারত                                                                                                        কলকাতা, ভারত


"সর্বাঙ্গীন শুভদিন প্রতিদিন , শ্রাবন-আশ্বিন
অঘ্রান-ফাল্গুন আর আষাঢ়-ভাদ্রের
জলে স্থলে থৈ-থৈ কিংবা রৌদ্রে নীল তলোয়ার,
শিশিরে ঘনিষ্ঠ মৃদু উল্লসিত বসন্তবাহার 
বানডাকা পাড়তোলা মেঘে রৌদ্রে মাটির আর্দ্রের 
মিলনের সূর্যস্পন্দে জীবনের সৃষ্টিময় দিন । 
তুমি এনেছ দ্বৈতা এ-জীবনে তোমার আমার 
দেহে মনে এ-জীবনে দয়িতা যে নিত্যের পুর্ণতা 
তার ফুল দিই আজ চোখে-চোখে মানসগভীরে 
আজ তাই প্রতিদিন প্রেমের পাত্রের হিরণ্য শূন্যতা 
ভ'রে দিক অভ্যাসের জয়ে, এবং আমরাও ফিরে-ফিরে 
পাত্রের শূন্যতা ভরি জীবনের স্বরচিত পূর্ণে বারবার ।।" 


বাংলা সাহিত্যজগতে উত্তর তিরিশের দশকের সর্বকনিষ্ঠ ও আজীবন সাম্যবাদের আদর্শে বিশ্বাসী এবং 1923 সালে "কল্লোল" পত্রিকা প্রকাশের ফলে যে নতুন সাহিত্য আন্দোলনের সূচনা হয়, সেই আন্দোলনের অন্যতম কান্ডারী ছিলেন বিষ্ণু দে । বিষ্ণু দে ছিলেন কবি, প্রবন্ধকার, অনুবাদক, পত্রিকা-সম্পাদক এবং শিল্পানুরাগী । উপরোক্ত লাইনগুলি এই সাম্যবাদী কবির রচিত "আমার হৃদয়ে বাঁচো" নামক কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত "তোমায় নতুন ক'রে পাবো ব'লে" কবিতা থেকে উদ্ধৃত করা হয়েছে । 

এই সাম্যবাদী কবি 1909 সালে জুলাই মাসের 18 তারিখে বর্তমান ভারতবর্ষের অন্তর্গত পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশের রাজধানী কলকাতা শহরের মধ্যস্থিত পটলডাঙ্গায় বিখ্যাত শ্যামাচরন দে-র পরিবারে ভুমিষ্ঠ হন । এই সাম্যবাদীর পিতা হলেন অবিনাশচন্দ্র দে, ইনি পেশায় মোক্তার ছিলেন । এই সাম্যবাদী কবির আদি নিবাস ছিল হাওড়াতে । এই সাম্যবাদী কবি এই শহরেই অবস্থিত মিত্র ইনস্টিটিউশন এবং সংস্কৃত কলেজিয়েট স্কুলে বিদ্যাশিক্ষা করেন । এই স্কুল থেকেই সাম্যবাদী কবি 1927 সালে প্রবেশিকা, বঙ্গবাসী কলেজ থেকে 1930 সালে আই. এ., সেন্ট পলস কলেজ থেকে 1932 সালে ইংরেজীতে অনার্সসহ বি. এ. এবং কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে 1934 সালে এম. এ. পাশ করেন । প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা সমাপ্ত করে এই বরণীয় কবি অধ্যাপনাকে পেশা হিসাবে গ্রহন করে 1935 সালে রিপন কলেজে যোগদান করেন । পরে এই বরণীয় কবি 1944 সাল থেকে 1947 সাল পর্যন্ত প্রেসিডেন্সী কলেজে, 1947 সাল থেকে 1969 সাল পর্যন্ত মৌলানা আজাদ কলেজে এবং শেষে কৃষ্ণনগর কলেজে অধ্যাপনা করেন । 1923 সালে "কল্লোল" পত্রিকা প্রকাশের ফলে যে নতুন সাহিত্য আন্দোলনের সূচনা হয়, সেই "কল্লোল" পত্রিকা 1930 সালে বন্ধ হয়ে গেলে এই বরণীয় কবি সুধীন্দ্রনাথ দত্তের "পরিচয়" পত্রিকার যুক্ত হয়ে, 1947 সাল পর্যন্ত এই পত্রিকার সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন । 1948 সালে এই বরণীয় কবি চঞ্চলকুমার চট্টোপাধ্যায়ের সাহায্যে একটি সাহিত্যপত্র প্রকাশ করেন এবং নিজে "নিরুক্ত" নামে একটি পত্রিকা সম্পাদনাও করেন । কবি বুদ্ধদেব বসু ও কবি জীবনানন্দ দাসের সমকালে এই খ্যাতনামা কবি কাব্য রচনার মধ্য দিয়ে নিজের সাহিত্যজীবন আরম্ভ করেন । "শ্যামল রায়" ছদ্মনামে এই খ্যাতনামা কবি কল্লোল ও মহাকাল পত্রিকায় অনেক কবিতা রচনা করেছেন । এই খ্যাতনামা কবির রচিত প্রথম কাব্যগ্রন্থ "উর্বসী ও আর্টেমিস" 1932 সালে প্রকাশিত হয় । প্রকাশক ছিলেন বুদ্ধদেব বসু । 1936 সালে চোরাবালি কাব্যগ্রন্থ প্রকাশের পরই এই খ্যাতনামা কবি পাঠকসমাজে "দুর্বোধ্যতম" কবি হিসাবে বিশেষ খ্যাতি লাভ করেন । রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এই খ্যাতনামা কবির কাব্যগ্রন্থ "চোরাবালি" পড়ে ভাব প্রকাশের দুর্বোধ্যতার কারনে খুবই বিরক্ত হয়েছিলেন । টি. এস. এলিয়টের কবিতার দ্বারা প্রভাবিত হয়ে এই স্বনামধন্য কবি নিজের কবিতায় পশ্চিমি দুনিয়ার মিথগুলিকে কখনো উপমার আকারে কখনো চিত্রকল্পের দ্বারা পাঠকদের নিকট তুলে ধরেছেন । সেই কারনে সাধারন পাঠকদের নিকট এই স্বনামধন্য কবির রচিত কবিতাগুলি দুর্বোধ্য মনে হয় । এই স্বনামধন্য কবি বাংলা ও ইংরেজি ভাষাতে গদ্য ও কবিতার অনেক গ্রন্থ রচনা করেছেন । এই স্বনামধন্য কবির কাব্যগ্রন্থগুলির মধ্যে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য হল - উর্বশী ও আর্টেমিস (1932), চোরাবালি (1936), পূর্বলেখ (1941), অন্বিষ্ট (1950), নাম রেখেছি কোমল গান্ধার (1950), আলেখ্য (1958 ), তুমি শুধু পঁচিশে বৈশাখ (1958), স্মৃতি সত্তা ও ভবিষ্যত (1963), সেই অন্ধকার চাই (1966), সংবাদ মূলত কাব্য (1969), ইতিহাসে ট্রাজিক উল্লাসে (1970), ঈশাবাস্য দিবানিশা (1974), উত্তরে থাকো মৌন (1977), আমার হৃদয়ে বাঁচো (1981) প্রভৃতি । এই স্বনামধন্য কবি 1956 সালে "বিদেশী ফুল" নামে একটি অনুবাদ কবিতাও রচনা করেন । এই প্রথিতযশা কবি প্রবন্ধ এবং স্বনামে ও ছদ্মনামে বেশ কিছু ছোটগল্প রচনা করেছেন । এই প্রথিতযশা কবির রচিত উল্লেখযোগ্য প্রবন্ধগুলি হল - রুচি ও প্রগতি (1946), সাহিত্যের ভবিষ্যত (1952), সাহিত্যের দেশ বিদেশ (1962), এলোমেলো জীবন ও শিল্পসাহিত্য (1958), মাইকেল, রবীন্দ্রনাথ ও অন্যান্য জিজ্ঞাসা (1967) প্রভৃতি । এই প্রথিতযশা কবি নিজের রচিত ছোটগল্পগুলিকে বিশেষ গুরুত্ব না দিলেও বাংলার সাহিত্যজগতে এই গল্পগুলির মূল্য অপরিসীম । বিপ্রদাস মিত্র ছদ্মনামে এই প্রথিতযশা কবির রচিত প্রথম গল্প হল পুরানের পুনর্জন্ম যা "প্রগতি" পত্রিকায় প্রকাশিত হয় । এই গল্লটি ছাড়াও এই প্রথিতযশা কবির রচিত ছোটগল্পগুলির মধ্যে - সৌর ট্রাজেডি, সুররসিক, বাসররাত্রি প্রভৃতি বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য । এই প্রখ্যাত কবি ইংরেজি ভাষায় দ্য পেন্টিংস অফ রবীন্দ্রনাথ টেগোর, ইন্ডিয়া অ্যান্ড মডার্ন আর্ট প্রভৃতি কয়েকটি গ্রন্থ রচনা করেন এবং বাংলা ভাষায় "একালের কবিতা" নামে একটি গ্রন্থ সম্পাদনাও করেন । এই প্রখ্যাত কবি "ছড়ানো এই জীবন" নামে একটি আত্মজীবনীও রচনা করেছেন । এই প্রখ্যাত কবি নিজে কমিউনিস্ট পার্টির সদস্য ছিলেন বলে ইংরেজি ভাষায় রচিত "ইন দ্য সান অ্যান্ড ইন দ্য রেইন" নামক সংকলনের প্রাপ্য রয়ালটি পার্টি তহবিলে দান করেন । 

এই প্রখ্যাত কবি নিজের সাহিত্যকীর্তির জন্য 1966 সালে "সাহিত্য অকাদেমী" পুরস্কার, 1973 সালে "জ্ঞানপীঠ" পুরস্কার এবং রুশতী পঞ্চশতী কাব্য সংকলনের জন্য "সোভিয়েট ল্যান্ড অ্যাওয়ার্ড" লাভ করেন । এই মহামান্য কবি সোভিয়েট সুহৃদ সমিতি , প্রগতি লেখক শিল্পী সংঘ, ভারতীয় গননাট্য সংঘ প্রভৃতি সংগঠনের সাথে যুক্ত ছিলেন । 1982 সালে ডিসেম্বর মাসের 3 তারিখে কলকাতাতেই এই মহামান্য কবির তিরোধান হয় ।

কৃতজ্ঞতা - Shining Subir.

নীচে তার রচনার ওপর ক্লিক করলে নির্দিষ্ট বইটি পেতে পারেন।

অ - ঔ ক - ন প - ম, শ স, ষ, র, ল, য, হ, ক্ষ

















































































































একটি আবেদন - 
কেউ যদি কোনো বই/ পত্রিকা স্ক্যান করতে / দিতে চান 
বা সূচীপত্র ও.সি.আর. করতে চান - 
তাহলে নিচের ইমেলে যোগাযোগ করবেন 

babuipakhi819@gmail.com 

No comments:

Post a Comment