বিশেষ ঘোষণা

বিশেষ ঘোষণাঃ কারিগরি কারণ বশতঃ বেশ কিছু বইয়ের লিঙ্ক কাজ করছে না। সেগুলো ধীরে ধীরে ঠিক করে দেওয়ার কাজ চলছে। কিছু বই অপেক্ষাকৃত ভালো করতে গিয়ে একটু সময় লাগছে। ফেসবুক গ্রুপে প্রত্যেক আপডেট জানিয়ে দেওয়া হবে। মাঝে মাঝে নতুন বই দেবার ও চেষ্ট চলছে ।

জলধর সেন

বাংলা ভাষার সমস্ত লেখক - এক জায়গায় ক্রমানুসারে

জলধর সেন
জন্ম - ১৩ই মার্চ, ১৮৬০                                                                                 মৃত্যু - ১৫ই মার্চ, ১৯৩৯
কুষ্ঠিয়া, বাংলাদেশ                                                                                                  কলকাতা, ভারত


বাংলা সাহিত্যের ভুবনে যে সকল লেখক বাংলা ভাষায় ভ্রমণসাহিত্য রচনা করে বাংলার পাঠকমহলে প্রশংসিত হয়েছিলেন তাদের মধ্যে অন্যতম হলেন জলধর সেন । স্বজন বিয়োগের শোকে উদভ্রান্ত হয়ে নিঃসহায় ও নিসম্বল অবস্থায় জলধর সেন মানসিকভাবে শান্তি লাভ করার জন্য 1890 সালে হিমালয়ের পথে যাত্রা করেন । 

হিমালয় ও তার পারিপার্শ্বিক অঞ্চলের ভ্রমণবৃত্তান্ত জলধর সেন তার " প্রবাসচিত্র " (1899) , " হিমালয় " (1900) , " পথিক " (1901) , " হিমাচল বক্ষে " (1904) -- এই চারিটি গ্রন্থে প্রাঞ্জল ও চিত্তাকর্ষক ভাষায় লিপিবদ্ধ করেন । হিমালয় ভ্রমণের উপর রচিত এই চারটি গ্রন্থ সেইসময় বাংলার পাঠকসমাজে বিশেষভাবে সমাদৃত হয় । এছাড়াও হিমালয় ভ্রমণের উপর জলধর সেনের রচিত কয়েকটি ভ্রমণবৃত্তান্ত বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে , যেমন -- " প্রবাসের সুখ " (' প্রদীপ ' মাসিক পত্রিকা , 1897/1898) , " প্রবাসে এক রাত্রি " (' প্রদীপ ' মাসিক পত্রিকা , 1901) , " প্রবাসের কথা " (' ঢাকা সম্মিলন ও রিভিউ ' , 1911) , " হিমালয়ের কথা " ( 'ভারতবর্ষ ' , 1916) এবং হিমালয় ভ্রমণকে বিষয় করে শিশু ও কিশোরগণের জন্য তিনি রচনা করেছেন " বদ্রিকাশ্রমে নারায়ণ দর্শণ " ( 'ধ্রুব ' মাসিক পত্রিকা , 1912) । জলধর সেন ছিলেন কথাসাহিত্যিক , পর্যটক ও পত্রিকা-সম্পাদক এবং তিনি 1860 সালে মার্চ মাসের 13 তারিখে অবিভক্ত ভারতবর্ষের অন্তর্গত কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালি গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত ও সংস্কৃতিবান পরিবারে ভুমিষ্ঠ হন । এই সম্মাননীয় কথাসাহিত্যিকের পিতার নাম হলধর সেন এবং মাতার নাম কালীকুমারী দেবী । এই বরণীয় কথাসাহিত্যিক স্থানীয় বিদ্যালয়ে বিদ্যাশিক্ষা আরম্ভ করেন এবং এই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হরিনাথ মজুমদারের ( বাংলার পাঠকমহলে ইনি কাঙাল হরিনাথ নামে সুপরিচিত ) দ্বারা পরবর্তীকালে তিনি গভীরভারে প্রভাবিত হয়েছিলেন । এই পূজনীয় কথাসাহিত্যিক 1871 সালে ডিসেম্বর মাসে গোয়ালন্দ বিদ্যালয় থেকে মাইনর পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে বৃত্তি লাভ করেন এবং তিনি 1878 সালে কুমারখালি উচ্চ ইংরেজি বিদ্যালয় থেকে এন্ট্রান্স পরীক্ষায় দ্বিতীয় বিভাগে উত্তীর্ণ হয়ে থার্ড গ্রেড জুনিয়র স্কলারশিপ লাভ করেন । এরপরে এই শ্রদ্ধেয় কথাসাহিত্যিক কলকাতা শহরে আগমন করে 1879 সালে জেনারেল এসেমব্লিজ ইনস্টিটিউশনে এল. এ. পাঠক্রমে ভর্তি হন এবং 1880 সালে এল. এ. পরীক্ষায় অকৃতকার্য হলে তার প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার পরিসমাপ্তি ঘটে । চাকুরির প্রয়োজন থাকায় এই আদরনীয় কথাসাহিত্যিক 1881 সাল মাসিক 25 টাকা বেতনে গোয়ালন্দ বিদ্যালয়ে শিক্ষক পদে যোগদান করে নিজের কর্মজীবন আরম্ভ করেন এবং এই বিদ্যালয়ে চাকুরিরতা থাকাকালীন স্বজন বিয়োগের কারনে তিনি হিমালয়ের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন । হিমালয়ে থাকাকালীন এই প্রখ্যাত কথাসাহিত্যিক কিছুদিন দেরাদুনের একটি বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেন এবং হিমালয় থেকে প্রত্যাবর্তন করে 1891 সালে মাসিক 40 টাকা বেতনে মহিষাদল রাজ বিদ্যালয়ে শিক্ষক পদে যোগদান করে 1899 সাল পর্যন্ত এই বিদ্যলয়ে শিক্ষকতা করেন । 

শিক্ষকতার চাকুরিতে ইস্তফা দিয়ে এই আদর্শবান কথাসাহিত্যিক কলকাতায় আগমন করে 1899 সালে সাপ্তাহিক " বঙ্গবাসী " পত্রিকায় সম্পাদকীয় বিভাগে যোগদান করেন । এরপরে এই মহামান্য কথাসাহিত্যিক 1907 সাল থেকে 1909 সাল পর্যন্ত " হিতবাদী " পত্রিকার সম্পাদকীয় বিভাগে , 1911 সাল থেকে এক বছর " সুলভ সমাচার " পত্রিকার সম্পাদকীয় বিভাগে যোগদান করেন এবং 1913 সাল থেকে তিনি আমৃত্যু পর্যন্ত দীর্ঘ 26 বছর " ভারতবর্ষ " পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন । পত্রিকা সম্পাদনার দায়িত্বে থাকাকালীন এই মান্যবর কথাসাহিত্যিক সাহিত্য রচনায়ও আত্মনিয়োগ করেছিলেন । এই স্বনামধন্য কথাসাহিত্যিক ছোটগল্প , উপন্যাস , জীবনীগ্রন্থ , ভ্রমণসাহিত্য নিয়ে একাধিক গ্রন্থ রচনা করেছেন । এই প্রতিভাধর কথাসাহিত্যিকের রচিত গ্রন্থগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল --

ছোটগল্প :- নৈবেদ্য (1900) , ছোটকাকী ও অন্যান্য গল্প (1904) , নূতন গিন্নী ও অন্যান্য গল্প (1907) , আমার বর ও অন্যান্য গল্প (1913) , পরাণ মণ্ডল ও অন্যান্য গল্প (1914) , আশীর্বাদ ( 1916) , এক পেয়ালা চা (1918 ) ,কাঙ্গালের ঠাকুর (1920) , মায়ের নাম (1921) ,বড়ো মানুষ (1929) প্রভৃতি ।

উপন্যাস :- দুঃখিনী (1909) , বিশুদাদা (1911) , করিম শেখ (1913 ) , তিন খণ্ড অভাগী ( প্রথম খণ্ড -- 1915 , দ্বিতীয় খণ্ড --1922 , তৃতীয় খণ্ড -- 1932) , বড়বাড়ি ( 1916) , হরিশ ভাণ্ডারী (1919) , ঈশানী (1919) , চোখের জল (1920) , সোনার বাংলা (1922) , দানপত্র (1922) , পরশ পাথর (1924) , ভবিতব্য (1925) , উৎস (1932) প্রভৃতি ।

জীবনীগ্রন্থ :- দুই খণ্ডে কাঙাল হরিনাথ ( প্রথম খণ্ড --1913 , দ্বিতীয় খণ্ড --1914 ) ।

এই জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিক পত্রিকা-সম্পাদক থাকাকালীন হরিনাথ গ্রন্থাবলী ও প্রমথনাথের কাব্য গ্রন্থাবলী নামে দুটি গ্রন্থ সম্পাদনা করেন এবং তিনি 1912 সাল থেকে 1913 সাল ও 1936 সাল থেকে 1937 সাল পর্যন্ত বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদের সহসভাপতির দায়িত্ব পালন করেন । এই প্রথিতযশা কথাসাহিত্যিক 1922 সালে ব্রিটিশ সরকারের নিকট থেকে " রায় বাহাদুর " উপাধি লাভ করেন । 1939 সালে মার্চ মাসের 15 তারিখে কলকাতা শহরে এই চিরস্মরণীয় কথাসাহিত্যিকের তিরোধান হয় ।

কৃতজ্ঞতা - Shining Subir.

নীচে তার রচনার ওপর ক্লিক করলে নির্দিষ্ট বইটি পেতে পারেন।

অ - ঔ ক - ন প - ম, শ স, ষ, র, ল, য, হ, ক্ষ

















































































































একটি আবেদন - 
কেউ যদি কোনো বই/ পত্রিকা স্ক্যান করতে / দিতে চান 
বা সূচীপত্র ও.সি.আর. করতে চান - 
তাহলে নিচের ইমেলে যোগাযোগ করবেন 

babuipakhi819@gmail.com 

1 comment:

  1. jolodhor sen er golpo somogro, uponnas somogro kinte chai. publishers er nam janaben please. free pdf holeo cholbe

    ReplyDelete